শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
নাইমুল ইসলাম নাইম: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সার ডিলারদের চড়া মূল্যে সার বিক্রি, যে কারনে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারন কৃষক।
উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়,সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ইউরিয়া সার ১৬ টাকার পরিবর্তে কেজি প্রতি ১৯/২২ টাকা দরে বিক্রি করছে। এমনি ভাবে প্রতিটি সারের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে বিক্রি করছে সার ডিলাররা।
উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের রামশীল জহরেরকান্দি সড়কে অবস্হিত সার দোকানদার সজল রাজিব হরির দোকানে গিয়ে দেখা যায় তমাল বাড়ৈর নামে কৃষি অফিস কতৃক সারের লাইসেন্সটি যাহা ২০১১ইং সালের। দেখা যায় ঐ লাইসেন্সটি আগৈলঝাড়ার বাট্রা বাজার সংলগ্ন রামশীল ইউনিয়নের ১নং ওয়াডের।কিন্তু জহরের কান্দি বাজারে এবং বাট্রা বাজার সংলগ্ন ০১নং ওয়ার্ডে তমাল বাড়ৈ সারের ব্যবসা করে আসছে।
জহরের কান্দি এলাকার একাধিক কৃষক অভিযোগ করে বলেন- তমাল বাড়ৈ একই কার্ড জালিয়াতের মাধ্যমে জহরেরতান্দি সজল রাজিব হরিকে দিয়ে এই অবৈধ্য সারের ব্যবসা করে অাসছে।সরকার নির্ধারিত ইউরিয়া সারের মূল্য ১৬ টাকার পরিবর্তে ২০/২২ টাকাদরে বিক্রি করছে।এছাড়া ও উপজেলার রাধাগন্জ ইউনিয়নে মোল্যা বাজার ৮নং ওয়ার্ডের ডিলার কালিপদ বিশ্বাস,৭নং ওয়ার্ডে ও একটি দোকান করেন। মোল্যা বাজার ৮নং ওয়ার্ডে ১টি দোকান ও রাজিন্দ্রারপাড় ৭নংওয়ার্ডে আরেকটি দোকান রহিয়াছে তার।তিনি মোল্যা বাজারে সকালে ঘন্টা খানিক সার বিক্রি করার পর ৭নং ওয়ার্ডের দোকানটি করেন।এতে ৮নং ওয়ার্ডের কৃষকদের ভোগান্তি চরমে।
এলাকার মালেক মোল্যা, রেজাউল মোল্যা, গফুর মোল্যা, সন্তোষ বিশ্বাস, কবির তালুকদার সহ একাধিক কৃষক অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানায়,কালিপদর দোকান বন্ধ দেখে ভাঙ্গারহাট,রাধাগন্জ, কোটালীপাড়া থেকে তাদের সার সংগ্রহ করতে হয়।তারা আরো জানায় ১৮/২০টাকা দরে ইউরিয়া সার বিক্রি করে আসছে কালিপদ বিশ্বাস।
উপজেলার সকল ইউনিয়নের সাব ডিলাররা অভিযোগ করে বলেন – মুল ডিলাররা নির্ধারিত সরকারী মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে আমাদেরকে সার সরবারহ করেন,যার কারনে অামরাও কৃষকদের কাছে অধিক মূল্যে সার বিক্রি করি।এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে সড়ক গুলির আশেপাশে সরকারী লাইসেন্স বিহীন অনেক সার ও কীটনাশকের দোকান দেখা যায়।
উপজেলার কৃষি অফিসার রথিন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অফিসের বাহিরে থাকায় সাংবাদিকদের জানায় তমাল বাড়ৈর লাইসেন্সটির বিষয়ে আমার ও সন্দেহ রয়েছে।
তিনি জানান উপজেলার ইউনিয়নের ওয়ার্ড ভিত্তিক সাব ডিলারদের স্ব- স্ব ওয়ার্ডে দোকান করতে হবে।অবৈধ সার ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে আইননুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।